কিভাবে টিশার্ট ব্যবসা শুরু করবেন
আমরা জানি বর্তমান সময়ে তরুণ প্রজন্মের কাছে টিশার্ট কতটা সমাদ্রিত। হালের এ ফ্যাশনে টিশার্ট রয়েছে চাহিদার শীর্ষে। আজকে আমরা কথা বলব কিভাবে শুরু করতে পারবেন চাহিদাসম্পন্ন এই পন্যটি।
চলুন দেখে নেই কিভাবে একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আপনার কাঙ্ক্ষিত পন্যটি বানিয়ে নিতে পারবেনঃ
নীট ফেব্রিক
সবার প্রথমেই যে বিষয়টি সম্পর্কে জানা খুব জরুরি সেটা হলো টিশার্ট এর ফেব্রিকের ব্যাপারে। সাধারণত টিশার্ট এর ফেব্রিক কটন, পলিয়েস্টার, ল্যাক্রা, ভিসকজ ধরনের হয়ে থাকে। সাধারণত ছেলেদের টিশার্ট এর ক্ষেত্রে কটন ও পলিয়েস্টার ফেব্রিক বেশী ব্যবহৃত হয়, মেয়েদের টিশার্ট এর ক্ষেত্রে ল্যাক্রা ও ভিস্কজ ফেব্রিক বেশী ব্যবহৃত হয়।
** ফেব্রিক কেনার পর কাজ হলো ফেব্রিক কাটিং করানো। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশী যেখানে জোর দিতে হবে প্যাটার্ন যার সাইজ সঠিক হওয়া চাই এবং ফেব্রিক যেন অপচয় না হয়।
প্রিন্ট
ফেব্রিক কাটিং এর পর যাবে প্রিন্টে। প্রিন্ট বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে যেমনঃ
স্ক্রিন রাবার প্রিন্ট
স্ক্রিন হাইডেন্সি প্রিন্ট
স্ক্রিন পিগমেন্ট প্রিন্ট
ফ্লগ প্রিন্ট
স্টোন প্রিন্ট
ফয়েল প্রিন্ট
আরেকটা হচ্ছে ডিজিটাল সাবলিমিশন প্রিন্ট।
তো প্রিন্ট আপনি আপনার ইচ্ছেমতো বিভিন্ন কালারে কম্বিনেশন করে দিতে পারবেন। প্রিন্ট খরচ কালার ও পরিমাণ অনুযায়ী কম বেশী হয়ে থাকে।
সুয়িং
এই ধাপে ফেব্রিক প্রিন্ট থেকে আসার পর সেটার যাবতীয় অংশগুলো মিলিয়ে সুয়িং বা সেলাইয়ের জন্য প্রস্তুত রাখতে হবে। সাইজ মিজারমেন্ট ঠিক রেখে কোয়ালিটি ধরে রেখে টিশার্ট সেলাই করতে হবে।
ফিনিশিং ও পলি
টিশার্ট সেলাই সম্পূর্ণ হবার পর সেগুলো আয়রন করে মসৃণ করতে হবে যেন ফেব্রিকে ভাঁজ পরে না থাকে। এক এক করে আয়রন করার পর সেগুলো সুন্দরভাবে পলি প্যাক করতে হবে।
আর এভাবেই কয়েকটি ধাপে কাজ করে আপনি আপনার ইচ্ছেমতো বিভিন্ন ধরনের টিশার্ট বানিয়ে নিতে পারবেন।
আমরা আমাদের ফ্যাক্টরি তে অতি যত্ন সহকারে প্রতি পন্য মান ধরে রেখে উৎপাদন করে থাকি।
আপনারা চাইলে আমাদের কাছ থেকে ভাল মানের টিশার্ট দ্রুত সময়ে বানিয়ে নিতে পারেন।
Comments
Post a Comment